ঢাকায় ১৫টি দল এলএসডি বিক্রিতে সক্রিয়
বাংলাদেশ |
হঠাৎ করেই বাংলাদেশে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড) নামক একটি মাদক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে আটজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী এই মাদক সেবনের পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা এই মাদকের বিষয়টি জানতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাদকের সবচেয়ে খারাপ দিক হল এটা এক ধরনের বিভ্রম তৈরি করে। ফলে এটা সেবনের পর নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তখন একজন মানুষ যা খুশি তাই করতে পারেন। এমনকি উঁচু ভবন থেকে লাফ দিতেও দ্বিধা করে না।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "সব মাদকই ক্ষতিকর। কিন্তু এলএসডির সবচেয়ে খারাপ দিক হল এটা সেবনের ফলে দৃষ্টি বিভ্রম বা হেলুসিনেশন হয়ে থাকে। এখন কেউ যদি খুব খুশিতে থেকে এই ড্রাগ নেয় তাহলে তার মধ্যে রঙিন চিন্তা আসে। আর কেউ যদি খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে এই ড্রাগ নেয় তাহলে খারাপ জিনিসগুলো তাকে ভর করে। সে তখন যা খুশি তাই করতে পারে। এমনকি আত্মহত্যাও করে ফেলতে পারে, উঁচু ভবন থেকে লাফিয়ে পড়তে পারে। ফলে এটা সরবরাহের রুটটা আগে বন্ধ করতে হবে। এটা অন্য মাদকের চেয়ে দামি। যারা নিয়মিত মাদক সেবন করে তারা সবসময়ই নতুন নতুন মাদক খোঁজেন। এই মাদকের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশি সম্পৃক্ততা দেখছি আমরা। এটি কোনভাবেই যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে খেয়াল করতে হবে।”
এলএসডি নেয়ার ফলে মানুষের হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, অতিরিক্ত ঘাম সহ নানা ধরণের মানসিক সমস্যাও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনএলএসডি নেয়ার পর সাধারণত মানুষ ‘হ্যালুসিনেট’ করে বা এমন দৃশ্য দেখে যা বাস্তবে নেই। অনেক সময় অলীক দৃশ্য দেখার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে।
যেভাবে বুঝবেন কেউ এলএসডি আসক্ত কি না
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, ইয়াবা বা হেরোইনের মতো মাদক দ্রব্যের তুলনায় এলএসডিতে আসক্তিকর উপাদান (অ্যাডিক্টিভ প্রোপার্টি) কম থাকে। তার মানে এই না যে, এতে আসক্তি তৈরি হয় না। একাধিকবার বা দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করতে থাকলে এলএসডির প্রতিও আসক্তি তৈরি হয়। তবে ব্যক্তিভেদে এই আসক্তির মাত্রা বা এলএসডির প্রতিক্রিয়া আলাদা হয়। কেউ যদি অন্যান্য মাদকের পাশাপাশি এলএসডি’র আসক্তিতেও ভোগেন তাহলে তার মধ্যে নানা ধরণের বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
১) অস্বাভাবিক
২) ক্ষুধামন্দা
৩) ঘুমের সম
৪) শারীরিক পরিবর্ত
৫) জীবনযাত্রায় পরিবর্তননস্যাআচরণ--
Thank you🙂
ReplyDelete